বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০১৫

Story behind Rajshahi

রাজশাহী বিভাগ

বগুড়া জেলা

১২৮১-১২৯০ খ্রিস্টাব্দে দিল্লরি সুলতান গিয়াসউদ্দীন বলবনের ২য় পুত্র সুলতান নাসিরউদ্দীন বগরা খান বাংলার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন তাঁর নামানুসারে বগুড়া জেলার নামকরণ করা হয়েছে

জয়পুরহাট জেলা

জেলার নামকরণের সঠিক ইতিহাস খুঁজে পাইনি, আপনাদের জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন

নওগাঁ জেলা

নওগাঁ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে 'নও'(নুতুন) 'গাঁ (গ্রাম) শব্দ থেকে শব্দ দুটি ফরাসী নওগাঁ শব্দের অর্থ হলো নুতুন গ্রাম ১৯৮৪ সালে মার্চ নওগাঁ ১১ টি উপজেলা নিয়ে জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে

নাটোর জেলা

নাটোর জেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নারদ নদী কথিত আছে এই নদীর নাম থেকেই 'নাটোর' শব্দটির উৎপত্তি ভাষা গবেষকদের মতে নাতোর হচ্ছে মুল শব্দ উচ্চারণগত কারণে নাটোর হয়েছে নাটোর অঞ্চল নিম্নমুখী হওয়ায় চলাচল করা ছিল প্রায় অসম্ভব জনপদটির দুর্গমতা বোঝাতে বলা হত নাতোর নাতোর অর্থ দুর্গম আরেকটি জনশ্রুতি আছে জমিদারদের পৃষ্ঠপোষকতার আমোদ-প্রমোদের জন্য গড়ে উঠেছিল বাইজিবাড়ি, নটিপাড়া জাতীয় সংস্কৃতি এই নটি পাড়া থেকে নাটোর শব্দটির উৎপদ্দি হতে পারে বলে ধারণা করা হয় ১৯৮৪ সালে নাটোর পূর্ণাঙ্গ জেলা লাভ করে

নবাবগঞ্জ জেলা

'চাপাইনবাবগঞ্জ' নামটি সাম্প্রতিকালেরএই এলাকা 'নবাবগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল চাঁপাইগঞ্জ নামকরণ সম্পর্কে জানা যায়, প্রাক-ব্রিটিশ আমলে অঞ্চল ছিল মুর্শিদাবাদের নবাবদের বিহারভূমি এবং এর অবস্থান ছিল বর্তমান সদর উপজেলার দাউদপুর মৌজায় নবাবরা তাঁদের পাত্র-মিত্র পরিষদ নিয়ে এখানে শিকার করতে আসতেন বলে স্থানের নাম হয় নবাবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামের ইতিবৃত্ত নবাব আমলে মহেশপুর গ্রামে চম্পাবতী মতান্তরে 'চম্পারানী বা চম্পাবাঈ' নামে এক সুন্দরী বাঈজী বাস করতেন তাঁর নৃত্যের খ্যাতি আশেপাশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি নবাবের প্রিয়পাত্রী হয়ে ওঠেন তাঁর নামানুসারে এই জায়গার নাম 'চাঁপাই" অঞ্চলে রাজা লখিন্দরের বাসভূমি ছিল লখিন্দরের রাজধানীর নাম ছিল চম্পক চম্পক নাম থেকেই চাঁপাই ভাষাবিদ . মুহম্মদ শহীদুল্লাহর (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি) ‘বাঙলা সাহিত্যের কথাগ্রন্থের প্রথম খন্ডে বর্ণিত লাউসেনের শত্রুরা জামুতিনগর দিয়ে গৌড়ে প্রবেশ করে বর্তমান ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া পূর্বে জামুতিনগর নামে পরিচিত ছিল এসবের ওপর ভিত্তি করে কোনো কোনো গবেষক চাঁপাইকে বেহুলার শ্বশুরবাড়ি চম্পকনগর বলে স্থির করেছেন এবং মত দিয়েছেন যে, চম্পক নাম থেকেই চাঁপাই নামের উৎপত্তি

পাবনা জেলা

পাবনানামকরণ নিয়ে কিংবদন্তির অন্ত নেই এক কিংবদন্তি মতে গঙ্গারপাবনীনামক পূর্বগামিনী ধারা হতে পাবনা নামের উৎপত্তি হয়েছে অপর একটি সূত্রে জানা যায়পাবনবাপাবনানামের একজন দস্যুর আড্ডাস্থলই এক সময় পাবনা নামে পরিচিতি লাভ করে অপরদিকে কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন, ‘পাবনানাম এসেছেপদুম্বাথেকে কালক্রমে পদুম্বাই স্বরসঙ্গতি রক্ষা করতে গিয়ে বা শব্দগত অন্য ব্যুৎপত্তি হয়ে পাবনা হয়েছেপদুম্বাজনপদের প্রথম সাক্ষাৎ মিলে খ্রিষ্টীয় একাদশ শতকে পাল নৃপতি রামপালের শাসনকালে

রাজশাহী জেলা

এই জেলার নামকরণ নিয়ে প্রচুর মতপার্থক্য রয়েছে তবে ঐতিহাসিক অক্ষয় কুমার মৈত্রেয়র মতে রাজশাহী রাণী ভবানীর দেয়া নাম অবশ্য মিঃ গ্রান্ট লিখেছেন যে, রাণী ভবানীর জমিদারীকেই রাজশাহী বলা হতো এবং এই চাকলার বন্দোবস্তের কালে রাজশাহী নামের উল্লেখ পাওয়া যায় পদ্মার উত্তরাঞ্চল বিস্তীর্ন এলাকা নিয়ে পাবনা পেরিয়ে ঢাকা পর্যন্ত এমনকি নদীয়া, যশোর, বর্ধমান, বীরভূম নিয়ে এই এলাকা রাজশাহী চাকলা নামে অভিহিত হয় অনুমান করা হয়রামপুরএবংবোয়ালিয়ানামক দুটি গ্রামের সমন্বয়ে রাজশাহী শহর ড়ে উঠেছিল প্রাথমিক পর্যায়েরামপুর-বোয়ালিয়ানামে অভিহিত হলেও পরবর্তীতে রাজশাহী নামটিই সর্ব সাধারণের নিকট সমধিক পরিচিতি লাভ করে বর্তমানে আমরা যে রাজশাহী শহরের সঙ্গে পরিচিত, তার আরম্ভ ১৮২৫ সাল থেকে রামপুর-বোয়ালিয়া শহরের নামকরণ রাজশাহী কী করে হলো তা নিয়ে বহু মতামত রয়েছে রাজাশাহী শব্দটি বিশ্লেষণ করলে দুটি ভিন্ন ভাষার একই অর্থবোধক দুটি শব্দের সংযোজন পরিলতি হয় সংস্কৃতরাজ ফারসিশাহএর বিশেষণশাহীশব্দযোগেরাজশাহীশব্দের উদ্ভব, যার অর্থ একই অর্থাৎ রাজা বা রাজা-রাজকীয় বা বা বাদশাহ বা বাদশাহী তবে বাংলা ভাষায় আমরা একই অর্থের অনেক শব্দ দু-বার উচ্চারণ করে থাকি যেমনশাক-সবজি, চালাক-চতুর, ভুল-ভ্রান্তি, ভুল-ত্রটি, চাষ-আবাদ, জমি-জিরাত, ধার-দেনা, শিক্ষা-দীক্ষা, দীন-দুঃখী, ঘষা-মাজা, মান-সম্মান, দান-খয়রাত, পাহাড়-পর্বত, পাকা-পোক্ত, বিপদ-আপদ ইত্যাদি ঠিক তেমনি করে অদ্ভূত ধরনের এই রাজশাহী শব্দের উদ্ভবও যে এভাবে ঘটে থাকতে পারে তা মোটেই উড়িয়ে দেয়া যায় না এই নামকরণ নিয়ে অনেক কল্পকাহিনীও রয়েছে সাধারণভাবে বলা হয় এই জেলায় বহু রাজা-জমিদারের বসবাস, এজন্য জেলার নাম হয়েছে রাজশাহী কেউ বলেন রাজা গণেশের সময় (১৪১৪-১৪১৮) রাজশাহী নামের উদ্ভব ১৯৮৪ সালে রাজশাহীর ৪টি মহকুমাকে নিয়ে রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর এবং নবাবগঞ্জ- এই চারটি স্বতন্ত্র জেলায় উন্নীত করা হয়

সিরাজগঞ্জ জেলা

বেলকুচি থানায় সিরাজউদ্দিন চৌধুরী নামক এক ভূস্বামী (জমিদার) ছিলেন তিনি তাঁর নিজ মহালে একটিগঞ্জস্থাপন করেন তাঁর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় সিরাজগঞ্জ কিন্তু এটা ততটা প্রসিদ্ধি লাভ করেনি যমুনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে ক্রমে তা নদীগর্ভে বিলীন হয় এবং ক্রমশঃ উত্তর দিকে সরে আসে সে সময় সিরাজউদ্দীন চৌধুরী ১৮০৯ সালের দিকে খয়রাতি মহল রূপে জমিদারী সেরেস্তায় লিখিত ভুতের দিয়ার মৌজা নিলামে খরিদ করেন তিনি এই স্থানটিকে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রধান স্থানরূপে বিশেষ সহায়ক মনে করেন এমন সময় তাঁর নামে নামকরণকৃত সিরাজগঞ্জ স্থানটি পুনঃ নদীভাঙ্গণে বিলীণ হয় তিনি ভুতের দিয়ার মৌজাকেই নতুনভাবেসিরাজগঞ্জনামে নামকরণ করেন ফলে ভুতের দিয়ার মৌজাইসিরাজগঞ্জনামে স্থায়ী রূপ লাভ করে